দৃশ্যকল্প-১ :
জয়ন্ত চৌধুরী কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকায় অবস্থানরত একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে । তিনি জয়ন্তকে দ্রুত হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেন । পরে হাসপাতালের চিকিৎসক ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকার হাসপাতালে প্রেরন করে ।
দৃশ্যকল্প-২ :
কম্পিউটার প্রশিক্ষিত সুমি ⟶ ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাকরি → স্বাবলম্বী → দেশের উন্নয়ন
ক. ই-মেইল কী ?
খ. নিরাপত্তায় বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তির অবদান বুঝিয়ে লেখ ।
গ. দৃশ্যকল্প-১ এর কোন প্রযুক্তির উল্লেখ করা হয়েছে – ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এর প্রবাহচিত্রের আলোকে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা বিশ্লেষন কর ।
প্রশ্নের উত্তর :
ক. ই-মেইল হচ্ছে ইলেকট্রনিক মেইল এর সংক্ষিপ্ত রুপ অর্থাৎ কম্পিউটারের সাহায্যে কোন তথ্য বা সংবাদ অন্য কোথাও পাঠানো বা গ্রহন করার ব্যবস্থাকে বোঝায় ।
খ. নিরাপত্তা , শনাক্তকরন ও যাচাইকরন কাজে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে , পাবলিক সিকিউরিটি সিস্টেমে , কনজুমারে ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি ক্ষেত্রে বায়েমেট্রিকস ডিভাইসের বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় । কোন অফিসের অভ্যান্তরে প্রবেশের সময় ব্যাক্তির বায়োমেট্রিক সিস্টেমে কোন ব্যাক্তির পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য পূর্বেই ঐ ব্যাক্তির ডাটা যেমন – ডিএনএ , আঙ্গুলের ছাপ . প্রক্সিমেটেট আইডেন্টটিটি কার্ড , হাতের তালুর ছাপ , কন্ঠস্বর চোখের রেটিনা ও আইরিস , মুখমন্ডলের নিদর্শন স্ক্যান করে ডাটাবেজে সংরক্ষন করা হয় । পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক্স ইনপুট যন্ত্রের দ্বারা স্ক্যানকৃত ডাটার সাথে মিললে ঐ ব্যাক্তি প্রবেশের অনুমতি বা অগ্রাধিকার পাবে । অন্যথায় পাবে না । এটাকে বায়োমেট্রিক্স সিস্টেম বলে । এ প্রযুক্তির ফলে একদিকে যেমন তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা পায় অন্যদিকে নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয় ।
গ. উদ্দিপকের দৃশ্যকল্প -১ এ টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির উল্লেখ করা হয়েছে । এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একজন রোগী ঘরে বসেই মোবাইল ফোন অথবা অনলাইন পদ্ধতিতে টেলিকনফারেন্সিং বা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করে সুস্থতা লাভ করতে পারে । আগে অসুস্থ রোগীকে জরুরী মূহুর্তে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হতো না । কিন্তু টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির ফলে দুর্গম এলাকা থেকেও রোগী যথাযথ চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে । চিকিৎসা ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে । নতুন নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে সহজেই অবহিত হওয়া সম্ভব হচ্ছে । প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও চিকিৎসা সেবা গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে ।
ঘ. উদ্দিপকের দৃশ্যকল্প-২ এ সুমি কম্পিউটার প্রশিক্ষন গ্রহন করে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র্রে চাকরি গ্রহন করে স্বাবলম্বী হয় । এখানে সুমির কর্মকান্ড সম্পূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর । তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের কর্মক্ষেত্রের পরিধি ও ধরনের পরিবর্তন আসছে । এ পরিবর্তিত কর্মক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষন গ্রহনের মাধ্যমে খুব সহজেই একজন যুবক বা যুবতী নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে । তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর এসব পরিধির বিশালতা অনেক , যার মাধ্যমে ঘরে বসে বিদেশি অর্ডারের কাজও করা সম্ভব । যদি এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে তরুন -তরুণী আরও সচেতন হয় তবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি তরান্বিত হবে ।
I like this website